খেরসন

 

খেরসন ফাঁকা করছে রাশিয়া

arthosuchak.com
Oct 20, 2022 8:19 PM

ইউক্রেন যে কোনো সময় আক্রমণ করতে পারে, সে কারণেই আগে থেকে খেরসন ফাঁকা করে দেওয়া হচ্ছে। খেরসনের পাশ দিয়েই বয়ে গেছে নিপ্রো নদী। সেই নিপ্রো নদীর গুরুত্বপূর্ণ বাঁধ পেরিয়ে অন্যদিকে নিয়ে গিয়ে রাখা হচ্ছে বেসামরিক মানুষকে। ইউক্রেনের শেলে যাতে কারো ক্ষতি না হয়, সে জন্যই একাজ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন খেরসনের রাশিয়ার দখল করা অঞ্চলের প্রধান।

বস্তুত, যে কোনো সময় ইউক্রেন আক্রমণ করতে পারে বলে মনে করছে রাশিয়া। রাশিয়ার গভর্নর জানিয়েছেন, বেসামরিক মানুষদের সরিয়ে নিলেও রাশিয়ার সেনা লড়াই করার জন্য প্রস্তুত। লড়াই না করে এক ইঞ্চি জমিও ছাড়া হবে না।

ইউক্রেনের বক্তব্য অবশ্য একেবারে উল্টো। তাদের বক্তব্য, রাশিয়া আক্রমণ শুরু করবে বলেই একাজ করা হচ্ছে। রাশিয়া খেরসন যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে মঙ্গলবারই জানিয়েছিলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদমির জেলেনস্কি। বুধবার ইউক্রেন দাবি করেছে, খেরসন থেকে জোর করে বেসামরিক মানুষদের সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। কোনভাবেই তারা যাতে ইউক্রেনের শাসনে থাকতে না পারে, তার ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করা হচ্ছে। তবে দুই পক্ষই বড়সড় লড়াইয়ের আশঙ্কা করছে।

রাশিয়ার দাবি, ইউক্রেন থেকে মোট পঞ্চাশ লাখ মানুষ এখনো পর্যন্ত রাশিয়ায় গিয়ে আশ্রয় নিয়েছে। এর মধ্যে অধিকাংশই গেছেন রাশিয়ার দখলে থাকা চারটি অঞ্চল থেকে। খেরসন, দনেৎস্ক, লুহানস্ক এবং ঝাপোরিজ্ঝিয়ার বড় অংশ রাশিয়া নিজেদের হাতে নিয়েছিল। সেখানে গণভোটের আয়োজন করা হয়েছিল। এরপর ডিক্রি জারি করে রাশিয়া জানায়, ওই অঞ্চলগুলিকে রাশিয়ায় অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে। পশ্চিমা দেশগুলি অবশ্য এর বিরোধিতা করেছে। ইউক্রেনও ওই অঞ্চলের খানিকটা এলাকা পুনর্দখল করতে পেরেছে।

বুধবার রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী একটি বিবৃতি জারি করে বলেন, চার লাখ ছয় হাজার ইউক্রেনীয় এই মুহূর্তে রাশিয়ার সীমান্তের ভিতরে আছেন। যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে তারা রাশিয়ায় গিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন।

ওয়াশিংটন পোস্টের সাংবাদিক ক্যাথেরিন বেলটন পুতিনকে নিয়ে একটি বইয়ের কাজ শেষ করেছেন ২০২০ সালে। ডয়চে ভেলের প্রতিনিধিকে তিনি বলেছেন, রাশিয়ার ভিতরে পুতিন-বিরোধী হাওয়া যথেষ্ট প্রবল। যেভাবে পুতিন যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছেন এবং বেসামরিক মানুষকে যুদ্ধে নামতে বাধ্য করছেন, তাতে পুতিন-বিরোধিতা আরো বাড়ছে বলে তিনি জানিয়েছেন। সূত্র: ডিডাব্লিউ, রয়টার্স, এপি, এএফপি, ডিপিএ

অর্থসূচক/এএইচআর

Comments

Popular posts from this blog

Shabnur is in love

Taslima Nasrin, Bangladeshi-Swedish-Indian Writer

Sakib Al Hasan, Bangladeshi Cricketer